সোমবার (০৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান মাহতাব উদ্দিন ও আ জ ম নাছির উদ্দিন। দুই নেতার দলীয় কার্যালয়ে যাবার খবর শুনে সেখানে যান কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতারাও।
সভায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভা নিয়ে আলোচনা হয়।
একইসঙ্গে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় স্মরণসভা করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে স্মরণসভার জন্য ১০ হাজার পোস্টার ছাপানো হবে। নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ব্যানার নিয়ে মিছিল করে নেতাকর্মীরা আসবেন। প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা থেকে বাসে করে নেতাকর্মীদের আসার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় এম এ আজিজের কবরে পুষ্পস্তবক ও আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ১৩ জানুয়ারি সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে লালদীঘি চত্বর থেকে শোভাযাত্রার কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন ও সুনীল সরকার, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান ও হাসান মাহমুদ হাসনী এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর ও মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, মহিউদ্দিন ভাই মারা যাবার পর দলীয় কার্যালয়ে অধিকাংশ নেতা একসঙ্গে এসেছেন। এতে অফিস চাঙ্গা হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে মহিউদ্দিন ভাইয়ের স্মরণসভা করব। এই সভা হবে স্মরণকালের বৃহৎ সভা।
গত ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সহ-সভাপতি মাহতাবকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
আরডিজি/টিসি