স্কপ নেতা ও জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মু. শফর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্কপ জেলা সমন্বয়ক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামের সভাপতি তপন দত্ত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মহিন উদ্দিন, বিএফটিইউসি’র সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক, মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কাজী আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার ভূইয়া প্রমুখ।
সভায় শ্রমিক নেতারা বলেন, জাতীয় গণ পরিবহন ব্যবস্থা রেলকে নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর আগ্রহ ও মনযোগের ফসল রেল মন্ত্রণালয়।
‘পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের পর যে গতিশীলতা আশা করা হয়েছিল তা হয় নি। অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করা, আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয় রেলের চতুর্থ শ্রেণির খালাসী, ওয়েম্যান, পোর্টার ইত্যাদি নিয়োগের কাজে বেশি মনোযোগী বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ’
তারা বলেন, চতুর্থ শ্রেণির পদ পূরণে সহকারী কর্মকর্তাই নিয়োগকর্তা। সে জায়গায় মন্ত্রণালয়ই সব করছে বলে অভিযোগ আছে। এ সকল কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় নিগৃহীত হচ্ছেন রেলের বিভিন্ন রেজিস্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়নের নেতরা। বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদভূক্ত সংগঠনগুলো সরকারের নিবন্ধিত শ্রমিকসংগঠন, স্কপের সহযোগী এবং জাতীয় ফেডারেশনভূক্ত। তাই রেল মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী জামাত-শিবির সংশ্লিষ্ট কোন সংগঠন এতে অন্তভর্’ক্ত নেই এবং কখনোই ছিলনা। সংগ্রাম পরিষদের অসংখ্য নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজেই তাঁদের রাজাকার বলায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্কপ।
সুষ্ঠুভাবে রেল পরিচালনার স্বার্থে অবিলম্বে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, সকল অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। সেই সাথে ট্রেড ইউনিয়ন করার গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমইউ/টিসি