মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় ইউসুফকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা.আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, সকালে আবারও মেডিকেল বোর্ড উনার (মোহাম্মদ ইউসুফ) শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে মতামত দিয়েছে।
শরীরে রক্তচাপ কিছুটা বাড়লেও কিডনি এখনও খুবই দুর্বল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণের ক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
মোহাম্মদ ইউসুফকে ঢাকায় নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
একসময়ের তুখোড় বামপন্থী নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি সিপিবি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক হলেও মোহাম্মদ ইউসুফের অর্থবিত্ত নেই। বিয়েও করেননি। বার্ধক্যে পৌঁছা মানুষটি নানা রোগে ভুগলেও অর্থাভাবে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।
অসহায় এই রাজনীতিকের করুণ অবস্থা নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ফেসবুকে একটি মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাসান ফেরদৌস। এরপর ইউসুফকে নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় উঠে। বিষয়টি গড়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত।
শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোববার (০৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন রাঙ্গুনিয়ায় মোহাম্মদ ইউসুফের গ্রামের বাড়িতে যান। তাঁকে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করেন।
অসুস্থ সাবেক এমপি ইউসুফকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত
মৃত্যুমুখে নিঃস্ব এমপি, অবশেষে পাশে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
আরডিজি/টিসি