এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১০ হাজার ৩১৫ জন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি পরীক্ষার এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২৪০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ২ হাজার ৪৫৫ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে:
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮২.২৭ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮০.৯২ শতাংশ।
তিন পার্বত্য জেলায় বেড়েছে পাসের হার:
চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে এবার পাসের হার বেড়েছে। এ বছর রাঙামাটিতে পাশের হার ৭৯.৭৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৭৬.৭৫ শতাংশ এবং বান্দরবানে ৮০.০৩ শতাংশ।
২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাশের হার ৭৮.৩৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৬৮.১৭ শতাংশ এবং বান্দরবানে ৭৮.৭৪ শতাংশ ছিলো।
জিপিএ-৫ নেমে এলো অর্ধেকে:
চতুর্থ বিষয় না থাকায় সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও রেকর্ড সংখ্যক জিপিএ-৫ কমেছে।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ হাজার ৩১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার তা কমে ৫ হাজার ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
গার্হস্থ্যে শতভাগ পাস:
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ৯৯.৯৩ শতাংশ, ক্রিস্টান ও মূল্যবোধ শিক্ষায় ৯৯.৯০ শতাংশ, বুদ্ধ ও মূল্যবোধ শিক্ষায় ৯৯.৮৭ শতাংশ, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৯৯.৩৯ শতাংশ, ইসলাম ও মূল্যবোধ শিক্ষায় ৯৯.২৬ শতাংশ, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতিতে ৯৯.০৯ শতাংশ, কৃষি শিক্ষায় ৯৮.৩০ শতাংশ, বাংলা প্রথম পত্রে ৯৮.০৫ শতাংশ, হিন্দু ও মূল্যবোধ শিক্ষা ৯৭.৯০ শতাংশ, বিজ্ঞানে ৯৫.৮৩ শতাংশ, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ৯১.৫০ শতাংশ, ইংরেজি প্রথম পত্রে ৯১.০৭ শতাংশ এবং গণিতে ৮৯.৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআর/এসি/টিসি