শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেটিকে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে।
নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যালামনাইয়ের এ মিলনমেলার মতো ভবিষ্যতে যাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিলনমেলা করা হয় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ছাত্র তথ্যমন্ত্রী বলেন, চেনা মুখগুলো বহু বছর দেখিনি, তাদের সঙ্গে দেখা হলো আজ। ইচ্ছে করে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জীবনে ফিরে যেতে। যেই বালুকণায় ঘিরে আমাদের স্মৃতি, যেখানে আমরা সময় কাটিয়েছি সেই দিনগুলোতে ফেরত যেতে ইচ্ছে করে। এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য যারা কষ্ট করেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমি প্রধানত চট্টগ্রাম শহরে থাকতাম। মাঝেমধ্যে হলেও থাকতাম। পরীক্ষার আগে বিশেষ করে হলে কয়েকমাস থাকতাম। ট্রেনে করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম। আমার ট্রেনের সহপাঠীরা অনেকেই আজকে অ্যালামনাইয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ট্রেনে গলা ছেড়ে গান আমিও গাইতাম। আমার সেই বন্ধুরা এখানে অনেকেই আছে। তারা সবাই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাই তাদের নাম বলছি না। গলা ছেড়ে গান গাইতো সেটি বললে তারা লজ্জাও পেতে পারেন। তবে আমিও গান গাইতাম। সেই যে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আমার ইচ্ছে হয় যদি আবার সেই বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলেয়ে গান গাইতে গাইতে যেতে পারতাম। এটা হবে কিনা জানি না কখনো। তবে এটি যদি করতে পারতাম খুব ভালো লাগতো।
সবার জন্য সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধি কামনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবো। সেটাই হোক সবার প্রত্যাশা।
>> চবি’র পুনর্মিলনীতে সাবেক চার উপাচার্যকে সম্মাননা
>> চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু
>> চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী উৎসব শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এআর/টিসি