লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ছবি: উজ্জ্বল ধর
চট্টগ্রাম: ১০০ ভাগ খাদ্য ভাতাসহ ১৫ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে তিনি বলেন, কর্মবিরতির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট (লাইটার) জাহাজে গম, ক্লিংকার, তেলসহ কাঁচামাল খালাস, নৌপথে পরিবহন কার্যত বন্ধ রয়েছে।
যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্মবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে।
ছবি: উজ্জ্বল ধর" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/Bg-44420191127163307.jpg" style="margin:1px; width:100%" />তিনি জানান, সারাদেশে ৩ হাজারের বেশি লাইটার জাহাজ পণ্য পরিবহন করে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে কয়েক হাজার লাইটার জাহাজ, বাল্কহেড, কার্গো ট্রলার, অয়েল ট্যাংকার ইত্যাদি। কর্মবিরতি চলাকালীন যে জাহাজ যেখানে আছে সেখানে অলস বসে রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন (রেজিঃ নম্বর বি ১৭১৬) ১১ দফা দাবিতে ২৮ নভেম্বর সব নদী ও সমুদ্রবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৯ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
নৌপথে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত লাইটারেজ শ্রমিক ও নৌযান শ্রমিকদের কর্মসূচিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আমদানিকারক, শিল্পকারখানার মালিকদের মধ্যে। তাদের আশঙ্কা নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে শ্রমিকদের এসব কর্মসূচি।