এর আগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পিইসি’তে ২০১৮ সালে জেলায় পাশের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ইবতেদায়ীতে ২০১৮ সালে জেলায় পাশের হার ছিল ৯০ দশমিক ২৯ শতাংশ। কিন্তু এবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া ২০১৭ সালে এ পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, গতবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা। ২০১৮ সালে জেলায় পিইসি’তে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৮৪ জন। কিন্তু ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৩২জন। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৫২ জন কম। তাছাড়া ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ১১৫ জন।
ইবতেদায়ীতে ২০১৮ সালে জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭০ জন। কিন্তু ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯ জন। যা গত বছরের তুলনায় ৬২৯ জন বেশি। এছাড়া ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ছিল ৯৯৯ জন।
এদিকে, পিইসি পরীক্ষায় এবছর কমছে অকৃতকার্যের সংখ্যা। ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬০২ জন। ২০১৯ সালে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৮০ জন। যা গত বারের তুলনায় ৩২২ জন কম। এছাড়া ২০১৭ সালে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৮ জন।
কিন্তু ঠিক তার উল্টো চিত্র ইবতেদায়ীতে। জিপিএ-৫ বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষায় অকৃতকার্যের সংখ্যাও বেড়েছে এবছর। ২০১৮ সালে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৮৩ জন। কিন্তু ২০১৯ সালে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৬ জন। যা গত বারের তুলনায় ২১৩ জন বেশি। এছাড়া ২০১৭ সালে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২৪৫ জন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শেষ হয় ২৪ নভেম্বর । এবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৩ জন। ইবতেদায়ীতে অংশ গ্রহণ করে ২৪ হাজার ৯২২ জন্।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমএম/টিসি