মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চাকরি থেকে অবসরে যান ট্রেনিং অ্যাকাডেমির রেক্টর মো. আনোয়ার হোসেন।
মাহমুদা খানমকে বরখাস্ত করা চিঠিতে সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার (ট্রাফিক) জোবেদা আক্তারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করাকে দায়ী করা হলেও মূলত ট্রেনিং অ্যাকাডেমির বিভিন্ন প্রকল্পের নামে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পেছনে মাহমুদার হাত থাকার ক্ষোভ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
২০১৯ সালের আগস্টে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পে ২২জন প্রশিক্ষণার্থী রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। এই প্রকল্পে ৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা খরচ দেখায় ট্রেনিং অ্যাকাডেমি।
এটির জন্য রেক্টর আনোয়ার হোসেন দায়ী করেন রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমির উচ্চমান সহকারী মাহমুদা খানমকে। এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রেনিং অ্যাকাডেমির প্রধান সহকারী পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় অনিয়মের খবরও ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ায় মাহমুদা খানমকে দায়ী করা হয়। এই ক্ষোভ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
তবে মাহমুদা খানম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো তথ্য তিনি কারওর সঙ্গে শেয়ার করেননি এবং ফেসবুকে পোস্ট করেননি। তারা সন্দেহ করছেন এইসব দুর্নীতির তথ্য আমি সরবরাহ করেছি। অথচ এ ধরনের কাজে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার জোবেদা খানমের সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমাকে বরখাস্ত করতেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। আশাকরি বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয় দেখবেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রেক্টর আনোয়ার হোসেনর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমির ট্রেনিং অফিসার আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার জোবেদা আক্তারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় মাহমুদা খানমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
জেইউ/টিসি