মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এ প্রতীকটি বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের কোন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য নির্ধারিত ছিল না। এখানে অতীতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ শক্তি। এর আগে বাদল ভাই দুবার নির্বাচিত এমপি হলেও তিনি আওয়ামী মূলধারার রাজনীতিক ছিল না। তবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তাকে আমি সমর্থন করে বিজয়ী করেছিলাম। তার স্বপ্ন ছিল নতুন করে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। তার এই স্বপ্নকে পূরণ করাই আমার প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার।
সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থেকেই আমাদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মোছলেম ভাইয়ের বিজয় শুধু নয়, সরকার ও দলের প্রতি গণ আস্থা আদায়ের একটি চালেঞ্জ হিসেবে আমরা গ্রহণ করেছি।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা জানি দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। তারা ভুল তথ্য ও নানারকম বিভ্রান্তি দিয়ে ভোটারদের রায় আদায়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল, কলেজ ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়ে এবং বিভিন্ন গুজবের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চলেছে। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত না হলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিশেষ মহল অপপ্রচার চালাবে আওয়ামী লীগের গণভিত্তি নেই এবং এইও বলবে আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য। এই মিথ্যার বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতেই এই উপ-নির্বাচনকে জাতির স্বাধীন সার্বভৌম জাতিসত্তাকে রক্ষার জন্য মত পার্থক্য, ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ ভুলে ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে অভিমুখী করতে হবে এবং তাদেরকে নৌকার পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন আবদুস শুক্কুর ফারুকী, নূর মোহাম্মদ নুরু, রফিকুল আলম, মো. সামসুল আলম, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, আবদুল মালেক, কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান, মো. মোবারক আলী, জেসমিন আক্তার জেসি।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, ডা. মো. আফছারুল আমীন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমেদ, মো. হোসেন, জোবাইরা নার্গিস খান, মানস রক্ষিত, জালাল উদ্দিন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মো. আবু তাহের, মো. শহীদুল আলম।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৬টি ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গৃহীত হয়। ২০২০ সালে মুজিবর্ষকে তাৎপর্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমূলক রাজনীতির বিভিন্ন পদক্ষেপ উপস্থাপন করে প্রকাশনা সহ এবং সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
এসকে/টিসি