ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের বিএসটিআইয়ের পরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ খোরশেদ আলম সুজনের

চট্টগ্রাম: পচা ও ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে মানসম্মত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম রেজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে বিএসটিআইকে গতিশীল করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিএসটিআইও সে লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরপরও আমরা সাধারণ জনগণ উদ্বিগ্ন।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যেভাবে ভেজালের জাল বিস্তৃত করে রেখেছে তা থেকে সাধারণ জনগণকে মুক্তি দিতে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে। শুধু মাঝেমধ্যে কিছু কারখানা কিংবা দোকানপাটে অভিযান পরিচালনা করে জনগণকে ভেজালের হাত থেকে মুক্ত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন বছরব্যাপী পরিকল্পিত অভিযান।

তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার জন্য বিএসটিআইর সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর পাচ্ছি আসন্ন রমজানকে টার্গেট করে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীরা এখন থেকেই ভোজ্যতেল, সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, নুডুলস, ঘিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। কারণ রমজানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকে তাই এ সময়কে টার্গেট করে তারা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আগে তারা বিভিন্ন হাট বাজারে তাদের ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করে বিপণন করতো। কিন্তু এখন তারা সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর লোকচক্ষুর অন্তরালে অভিজাত এলাকার বাসা বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে তাদের ভেজাল খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চাকচিক্যপূর্ণ মোড়কে ভোক্তারা প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে। বিভিন্ন নামহীন ব্র্যান্ডধারী অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদিত মিনারেল ওয়াটার নামক দূষিত পানি পান করে জনগন প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদি পীড়ায় ভুগছে। তাই জনগণকে এসব ভেজাল খাদ্য থেকে মুক্তি দিতে বিএসটিআইকে কার্যত একটি শক্তিশালী সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।

মো. সেলিম রেজা আন্তরিকতার সঙ্গে নাগরিক উদ্যোগের নেতাদের সাধুবাদ জানান।

তিনি বলেন, যেকোনো রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণ সচেতন থাকলে সেখানে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইতিমধ্যে মহাপরিচালক সব আঞ্চলিক কার্যালয়কে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন এবং বিপণন বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিএসটিআই চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রস্তাবিত তিন তলার স্থলে ইতিমধ্যে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার উন্নয়ন কাজও চলমান। এছাড়া ৫০ কোটি টাকার আধুনিক যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে।

নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলে বিএসটিআই নব উদ্যমে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন তখন বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য আর ঢাকায় যেতে হবে না। চট্টগ্রামেই সব পণ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই উপ-পরিচালক (মেট) মো. শওকত ওসমান, উপ-পরিচালক (সিএম) মো. নুরুল আমিন, রাজনীতিবিদ আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্যসচিব মো. হোসেন, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, মো. শাহজাহান, মো. জাহাঙ্গীর, মো. নাছির, সফি আলম বাদশা, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, আজম আলী জুয়েল, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।