ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইভিএম নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই: সিইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
ইভিএম নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই: সিইসি বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে কোন ভীতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে, কিন্তু অভিযোগের ভিত্তি আছে কিনা তা আগে দেখতে হবে।

ইভিএমে ভোট হলে কখনও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে কোনো সংঘাত নেই।

সুতরাং নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো। অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে আশা করছি। গতকাল (মঙ্গলবার) এলাকার লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনে জমা হওয়া অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আমরা সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নেবো।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কমানো হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স রাখা হবে।

তিনি বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ইভিএম চালু হলে ভোট কারচুপি করা যাবে না, ব্যালট চুরি করার কোনো সুযোগ নেই। যারা পরিচালনা করবেন তাদের পরিশ্রম লাঘব হবে। তাছাড়া একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না। একজনের ভোট দেওয়া শেষ হলেই অন্যজন্য ভোট দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ইভিএম-ই একমাত্র উপায় যেখানে যার ভোট তিনি দিতে পারবেন। জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া একবার ভোট দিলেই দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। সে নিশ্চয়তা ইভিএম এর মধ্যে আছে।

বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটার কম হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হলো- নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়া। বিশেষ করে বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে ভোটার সংখ্যা কম হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।