ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ দুই স্কুলভবন উদ্বোধন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ দুই স্কুলভবন উদ্বোধন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পরিদর্শন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যলয়ের নতুন ভবনসহ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও পাঠানটুলি সিটি করপোশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছ্নে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফলক উন্মোচন করেন মেয়র।

জাইকার অর্থায়নে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন ভবন দু’টি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

এর মধ্যে হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন স্কুলের ৬তলা ভবন নির্মাণে ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩৬ হাজার আর পাঠানটুলী সিটি করপোরেশন বালিকা স্কুলের ভবন নির্মাণে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।  

হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা স্কুলের ২৪ হাজার বর্গফুট ও পাঠানটুলি সিটি করপোরেশন বালক স্কুলের ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুটের আয়তনের মধ্যে রয়েছে পার্কিং, ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানীয়জলের রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট, দুর্যোগকালীন নিরাপদে প্রতিবন্ধী ও গবাদি পশুর অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র, ক্যান্টিন, প্রশাসনিক কক্ষ, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক রুম, টয়লেট ব্লক, ১৬ জন ধারণক্ষমতার লিফট এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, ১ শয্যার ফার্স্ট অ্যাইড মেডিক্যাল রুম, ২ কেবি জেনারেটর, ১২শ ওয়াটের সোলার বাতি, মিলনায়তন, অ্যাকাউন্টস্, ইনডোর গেম ইত্যাদি।

মেয়র বলেন, চসিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি শিক্ষা প্রকৌশল ও জাইকার অর্থায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিকায়নের কাজ করছি। এর মাধ্যমে করপোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে।  

তিনি বলেন, মানুষের ভেতরে যে সুপ্ত প্রতিভা, সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে তা শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। সেই শিক্ষার আলো সমাজকে আলোকিত করতে পারে। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরবাসীর সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য কলেজ ও অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকা দিয়েই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

গুণীজনদের নামে সড়ক নামকরণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বীর চট্টগ্রামের মানুষ তাদের প্রয়াত গুণীজনদের সবসময় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সেরা সন্তান, তাদের কারণে আমরা সুন্দর দেশ পেয়েছি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের দেশপ্রেম বাড়াতে হলে প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাসহ গুণীজনদের অতীতকে স্মরণ করতে হবে।

তিনি দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা এবং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে প্রায় ৫১ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, যা আজ বাস্তবায়নের পথে। এখন আমরা স্কুল-কলেজের ভর্তি, ফলাফল, হাজিরা, বেতন জমাকরণ ও দাপ্তরিক কাজসহ প্রায় সব বিষয়ে ডিজিটালাইজড করতে সক্ষম হয়েছি। শুরু করতে পেরেছ নিজস্ব ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতি। যা শুধু ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে সম্ভব হয়েছে। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ডিজিটাল হতে হবে। আমাদের এ ডিজিটাল ল্যাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও শিক্ষার্থীদের মেধা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যা সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে।

পাঠানটুলী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌসী আকবর, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম। উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, জাইকার কনসালটেন্ট মাহবুব আলম, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, সহকারী প্রকৌশলী মজিবুল হায়দার, পাঠানটুলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের। প্রধান শিক্ষক নিজামুল হক শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, রাজনীতিক আবদুর রশীদ লোকমান, অভিভাবক সদস্য সাঈদুল আলম বুলবুল, হালিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়:  ২২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।