ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে ১৪ নতুন বগি

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে ১৪ নতুন বগি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে নতুন বগি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে পুরাতন বগি সরিয়ে নতুন ১৪টি বগি যুক্ত করা হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থেকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি এসব বগি নিয়ে ট্রেনটি চলাচল করবে। এর আগে ২৬ জানুয়ারি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন বগি যুক্ত করা হয়।

যাওয়া-আসা মিলিয়ে এই দুটি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন ২ হাজার ৪৪৪ জন। এরমধ্যে উদয়ন ট্রেনে এসি বার্থ ৩৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ ৫৯৬টি সিট।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি সিট ৬৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ ৬২৬টি। আগে ট্রেন দুটি ১৬/৩২ কম্পোজিশনে চলাচল করলেও নতুন নিয়মে ১৪/২৮ কম্পোজিশনে চলবে।

ট্রেনের টিকিটের দাম

নতুন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটি এসি বার্থের মূল্য ৮৫৭ টাকা আর শিশুর জন্য এই ভাড়া ৫৭০ টাকা, স্নিগ্ধার দাম ৭১৯ টাকা আর শিশুর জন্য ৪৭৮ টাকা, শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা, শিশুর জন্য ২৫০ টাকা। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটি এসি বার্থের মূল্য এক হাজার ৩৮ টাকা আর শিশুর জন্য ৯০১ টাকা, স্নিগ্ধা ৭১৯ টাকা আর শিশুর জন্য ৪৭৮ টাকা, শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা, শিশুর জন্য ২৫০ টাকা।

নতুন সময়সূচি

উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টায়। আবার সিলেট থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৫০মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট থেকে সকাল সোয়া ১০টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে। এছাড়া ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯টায় ছেড়ে সিলেটে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন বগি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুধু উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন রেক সংযুক্ত হয়। এবার ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন রেক অর্থাৎ ১৪টি নতুন বগি সংযুক্ত হবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। এই রুটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ট্রেন ভ্রমণে আস্থাও বাড়বে বলে আশা করছি।

১৯৮৬ সালে পাহাড়িকা এবং ১৯৯৮ সালে উদয়ন ট্রেন চালু হয়। ট্রেন দুটি চালুর পর থেকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল রেলের সিলেট-চট্টগ্রাম রুট। এবার এ রুটের যাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় নতুন ট্রেনে চলাচল করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জেইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।