ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্বশান্তি রক্ষায় মডেল তৈরি করেছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
বিশ্বশান্তি রক্ষায় মডেল তৈরি করেছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চট্টগ্রাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিজেদের দেশে হিংসার শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গারা। শুধু হিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।

এজন্য বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ একটি মডেল তৈরি করেছে। যেটি জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুইটি সম্পদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ ও পানি সম্পদ। কিন্তু আমরা দক্ষতার অভাবে এই দুই ধরনের সম্পদকে কাজে লাগাতে পারছি না। যদি এই দুই ধরনের সম্পদকে কাজে লাগানো যায় তাহলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সম্পদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাকে ধারণ করতে পারিনি।  

‘তবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাঙালি পরিশ্রমী, মেধাবী। কিন্তু সেই মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র অল্প কয়েকবছর বঙ্গবন্ধু দেশকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাকে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। এরপর তার কন্যা শেখ হাসিনা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছেন।

তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রায়ই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডে শিশুরা হত্যার শিকার হন। অথচ তারা নিষ্পাপ। শেখ রাসেলও ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ডে নির্মমতার শিকার হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন এবিএম আবু নোমান বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি এখন চোখে দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি বড় উদাহরণ। সবাই মিলে কাজ করলে দেশ ২০৪১ সালের আগে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএফ ইমাম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্মসচিব ড. নাজনীন কাউসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামে কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শহীদুল আলম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।