চট্টগ্রাম: আইনের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল' স্টুডেন্টস (নিলস) এর বাংলাদেশ অধ্যায়ের আয়োজনে ২য় আন্তর্জাতিক আইন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ ও মানবাধিকার।
১৭ ডিসেম্বর উদ্বোধন হওয়া তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের আকর্ষণ ছিল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বিষয়ক ম্যুট কোর্ট প্রতিযোগিতা।
ম্যুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। বেস্ট মেমোরিয়াল পুরস্কার পায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিযোগিতায় বেস্ট রিসার্চার হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চার আসিফ-উল-গনি। যৌথভাবে বেস্ট অ্যাডভোকেসি পুরস্কার পান নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ান্নী মহসিনা হক ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির সুমাইয়া ইসলাম।
উৎসবের অংশ হিসেবে ছিল লিংগভিত্তিক সংঘাত এবং ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক একটি পোস্টার উপস্থাপনা প্রতিযোগিতা। এতে থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনের বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।
পোস্টার উপস্থাপনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবাইয়া-আল–মাহিম ও ফাইজা কামাল মুনমুন। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির হাবিবা মঞ্জুর ও আবুল হাসনাত। তৃতীয় হন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নিগ্ধা দাস ও নওরিন জাহান।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ২৭৫ জন অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে গণহত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবিক আইন বিষয়ক আইনজ্ঞ, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এ ওয়েবিনারে অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী ২য় আন্তর্জাতিক আইন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এবিএম আবু নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, আইনের শিক্ষক ক্রিশ্চিন রিচার্ডসন ও ফারহানা হেলাল মেহতাব।
উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নায়মা হায়দার।
উৎসব সফল করতে কাজ করেন- ইভেন্ট অর্গানাইজিং প্রধান লুৎফুন্নাহার সঞ্চি, নীলস বাংলাদেশের সভাপতি মুহম্মদ মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ। তাদের নেতৃত্বে ২২ জন অর্গানাইজার ও ভলান্টিয়ার পুরো উৎসবে কাজ করেন।
করোনা মহামারির কারণে এবার আইন উৎসব অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের মিডিয়া পার্টনার ছিল- বাংলানিউজ, দা ডেইলি স্টার, দেশ টিভি, নিউজ নাউ এবং রেডিও টুডে ৮৯.৪ এফএম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এমআর/টিসি