ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাল টাকায় আসল মোবাইল কিনে তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
জাল টাকায় আসল মোবাইল কিনে তারা

চট্টগ্রাম: নগরের বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকায় দামি মোবাইল কিনে প্রতারণার দায়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেফতার দুই যুবক হলেন- মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খান (২৬) এবং মো. মারুফ মোল্লা (২৮)।

নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি আমেরিকা প্রবাসী এক ব্যক্তি দেশে আসার পর তার ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-২০ আল্ট্রা’ মডেলের একটি মোবাইল সেট বিক্রির জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন।

তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর ফাহিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই প্রবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চন্দনপুরা এলাকায় গিয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে ৭৮ হাজার টাকায় মোবাইল সেটটি কিনে নেন ওই ব্যক্তি। তবে বাসায় গিয়ে ওই প্রবাসী বুঝতে পারেন ক্রেতার দেওয়া সব টাকাই জাল।

প্রতারক চক্রের প্রতারণার এই ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটে অভিযোগ জমা দেন আমেরিকা প্রবাসী।  

আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, একই মোবাইল নম্বরধারী ওই প্রতারক গত জুলাইয়ে হালিশহর এলাকার একজন শিক্ষার্থীর ‘ওয়ান প্লাস ৮ প্রো’ মডেলের মোবাইল সেট ৮০ হাজার টাকায় কিনেন। এক্ষেত্রেও সব জাল টাকা দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। তিনিও অভিযোগ জমা দেন।

তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্তে পুলিশ মাঠে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মূল প্রতারক মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খাঁনকে রোববার দুপুরে বন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে জাল ৩৪ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল সেট এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাল ৩ লাখ টাকা এবং ২টি মোবাইল সেটসহ মো. মারুফ মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বাগেরহাট থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করে এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

এই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ মহিউদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।