চট্টগ্রাম: মিয়ানমার হয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য অস্ত্র কিনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের ইয়াবা ব্যবসায় ‘সহযোগী’ নাসির উদ্দিন (৪২) নামে এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সন্ধান পেয়েছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
নাসির উদ্দিন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের আড়ালে এতদিন ধরে কৌশলে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩ জানুয়ারি) নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
গ্রেফতার নাসির উদ্দিন আনোয়ার উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের চাপাতলী এলাকার এস এম সোলাইমানের ছেলে। তিনি অর্গানিক হেলথ কেয়ার নামে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মিয়ানমার হয়ে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য অস্ত্র কিনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নাসির উদ্দিন নামে এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সন্ধান পেয়েছি। তাকে আমরা গ্রেফতার করেছি।
ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, এর আগে ইয়াবা চক্রের সঙ্গে জড়িত মোট নয়জনকে আমরা গ্রেফতার করেছিলাম। সেখানে একজনের দেওয়া জবানবন্দিতে নাসিরের বিষয়ে তথ্য পাই। নাসির উদ্দিন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের আড়ালে এতদিন ধরে কৌশলে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছেন।
গত ৫ নভেম্বর টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে বিক্রির পর ঢাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথে বাকলিয়া থেকে অস্ত্রসহ আব্দুর রাজ্জাক নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে টেকনাফ হ্নীলা লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মো. কামাল নামে আরও একজনকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
আব্দুর রাজ্জাক ও মো. কামালকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসে বাকলিয়া থানা পুলিশ। রিমান্ডে তাদের দুইজনের কাছ থেকে ফোরকান প্রকাশ মাসুদের বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ। ১৩ নভেম্বর সকালে অভিযান চালিয়ে ফোরকানকে আটক করে পুলিশ।
ফোরকানের দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে মোবারক হোসেন ও মো. রাসেলকে আটক করে এবং বহদ্দারহাটে ফোরকানের নিউ চাঁন্দগাও আবাসিকের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ নগদ ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬২২ টাকা, ২৩ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১২টি চেক বই উদ্ধার করে এবং ফোরকানের স্ত্রী শামীম আরা শমীকে আটক করে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের হয়।
১৪ নভেম্বর ফোরকান, তার স্ত্রী শামীম আরা শমী, মোবারক হোসেন ও মো. রাসেলকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসে বাকলিয়া থানা পুলিশ। রিমান্ডে ফোরকানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে মো. তাহের, মো. আলী জোহর ও আসমা আক্তার নামে আরও তিন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২০
এসকে/টিসি