চট্টগ্রাম: ঐতিহাসিক জেএমসেন ভবনকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি সাংবাদিক আলীউর রহমান, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস হোর, কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রামের সভাপতি অশোক সাহা, আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান, প্রীতিলতা ট্রাস্ট পটিয়ার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী।
সমাবেশে আবুল মোমেন বলেন, জাদুঘর রক্ষায় আমরা একত্রিত হয়েছি। এটা বাস্তবায়িত হওয়ার বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদি।
অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় চট্টগ্রামবাসির একটি নান্দনিক দাবি ও প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ। চক্রান্তকারীরা এখন পিছু হটেছে। কিন্তু তারা দমে যায়নি। আমরা একত্রিত হয়ে পথে না থাকলে চক্রান্তকারীরা আবারো ছোবল মারবে। সেজন্য আমাদের ধারাবাহিকভাবে জাদুঘর স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে ।
সাংবাদিক আলীউর রহমান বলেন, জনগণ প্রতিবাদ করেছে। সাংবাদিকরা তা সঠিকভাবে তুলে ধরায় প্রশাসন এগিয়ে এসেছে। সাংবাদিকরা এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
আনন্দ শোভাযাত্রা চেরাগী পাহাড় থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ঘুরে জেএমসেন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত পাঁচজন কমিশনার জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত ও নিলু নাগ এসময় বক্তব্য দেন।
আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম, আনোয়ারা বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর সেবাশ্রম, ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ, পটিয়া প্রীতিলতা ট্রাস্ট, বোয়ালখালী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
এসি/টিসি