চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। চট্টগ্রামে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছি।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মেজবান হলে ‘স্মার্ট লাইটিং দ্য ফাউন্ডেশন অফ ফিউচার স্মার্ট চট্টগ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, এ শহর আপনাদের। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন। আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা বলবেন। পাহাড় কেটে ফেলছে আপনারা কী করছেন? ঢাকায় খালের ওপর মার্কেট আমরা ভেঙে দিছি। খারাপকে খারাপ বলেন, ভালোকে ভালো বলেন। জনগণের ভোট নিয়ে প্রতারণা করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় নমনীয় ঋণ চুক্তির অধীনে ‘মডার্নাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম এ্যাট ডিফ্রেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি সৈন্যদের আক্রমণের মুখে ভারত ১০ মিলিয়ন মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে।
চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব। আশপাশের অনেক দেশের সমুদ্রবন্দর নেই। আমাদের সেই সম্পদ রয়েছে। কর্ণফুলী আমাদের লাইফ লাইন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক। মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনে শত শত কোম্পানি বিনিয়োগ করছে। এতে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়ন হবে।
আলোকায়ন প্রকল্পটি দুই দেশের টোকেন অব দ্যা ফ্রেন্ডশিপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলইডিতে এনার্জি খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। এটি একটি মডেল প্রজেক্ট।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি মন্ত্রণালয়, চসিক, ঠিকাদারসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতের সরকার প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকের চুক্তির আলোকে ৪৬০ কিমি সড়ক আলোকায়ন হতে যাচ্ছে। যা নগরবাসীর নিরাপত্তা ও স্বস্তি ফিরে আসবে।
জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। এ বছর কয়েকবার অতিবৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতা তেমন প্রকট আকার ধারণ করেনি। পাহাড় কাটা বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৪
এআর/টিসি