চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডে দিনে ৯ হাজার ২০০ টনের স্থলে ২৫ হাজার টনে উন্নীত করছে উৎপাদন ক্ষমতা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন শেষে আগামী এপ্রিল থেকে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
জ্বালানি সাশ্রয়ী ভিআরএম প্রযুক্তি স্থাপনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে ডেনমার্কের এফএলস্মিথ। সক্ষমতা বাড়ানোর এ পদক্ষেপে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে চট্টগ্রামের কারখানায় প্রতি ঘণ্টায় ২৭০ টন এবং ঢাকার কারখানায় ঘণ্টায় ৪৬০ টন সিমেন্ট উৎপাদন সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, ‘আমরা প্রমাণে বিশ্বাসী’ স্লোগানে প্রিমিয়ার সিমেন্ট যাত্রা শুরু করে ২০০১ সালে। প্রথম দিকে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল বছরে ৬ লাখ টন। বর্তমানে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ব্যক্তিগত ও দেশের বড় বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট কম্পোজিশনের সিমেন্ট সরবরাহ নিশ্চিত করবে প্রিমিয়ার সিমেন্ট। দেশে চলমান ৭৩টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সিমেন্ট রফতানিও করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্র্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ত্রিপুরার সঙ্গে নৌবাণিজ্যের প্রথম চালানটিও ছিল প্রিমিয়ার সিমেন্টের।
প্রিমিয়ার সিমেন্টের কোম্পানি সেক্রেটারি কাজী মো. শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার সিমেন্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নিবন্ধিত হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিক (জুলাই ’২০-ডিসেম্বর ’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দুই প্রান্তিক (জুলাই ’২০-ডিসেম্বর ’২০) মিলিয়ে ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর ’২০-ডিসেম্বর ’২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি এ আয় (ইপিএস) ছিল ৭৫ পয়সা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এআর/টিসি