চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে নৃশংস গণহত্যার স্থান চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমির সম্পূর্ণ জায়গা অধিগ্রহণ করে সেখানে একটি জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষা পরিষদ।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের হাতে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে লেখক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন এবং ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট বধ্যভূমির ১ একর ৭৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সাতবছর পেরিয়ে গেলেও এই বধ্যভূমি অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সারাদেশে বধ্যভূমির জন্য ন্যূনতম ২ শতক ভূমি অধিগ্রহণ করবে। সেই সিদ্ধান্তকে ভিত্তি ধরে পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্যও ১ একর ৭৫ শতকের পুরো ভূমির বদলে ইউএসটিসির স্থাপনা বাঁচিয়ে শুধু ১ দশমিক ৯ শতক জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। পাহাড়তলী বধ্যভূমির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া আদালত অবমাননার মতো গর্হিত অপরাধ হবে।
এ অবস্থায় ২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে পাহাড়তলী বধ্যভূমির পুরো জায়গা অধিগ্রহণ করে মুজিববর্ষের মধ্যেই সেখানে একটি জাদুঘর স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এআর/টিসি