ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়তলী বধ্যভূমির পুরো জায়গা অধিগ্রহণ করে জাদুঘর নির্মাণের দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
পাহাড়তলী বধ্যভূমির পুরো জায়গা অধিগ্রহণ করে জাদুঘর নির্মাণের দাবি ...

চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে নৃশংস গণহত্যার স্থান চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমির সম্পূর্ণ জায়গা অধিগ্রহণ করে সেখানে একটি জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষা পরিষদ।  

রোববার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের হাতে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এ সময় পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট আবেদনকারী প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান, গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী শরীফ চৌহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা ও চারুশিল্পী দীপক কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এর আলোকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত ডা. নুরুল ইসলাম একটি মামলা করেন, কারণ তিনি স্বল্পমূল্যে সেই জমি কিনেছিলেন এবং সেখানে তার প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসি ‘জিয়া ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি ভবন তৈরি করেছিল। ২০০১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের সেই প্রকল্প বাতিল করে।

এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে লেখক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন এবং ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট বধ্যভূমির ১ একর ৭৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সাতবছর পেরিয়ে গেলেও এই বধ্যভূমি অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সারাদেশে বধ্যভূমির জন্য ন্যূনতম ২ শতক ভূমি অধিগ্রহণ করবে। সেই সিদ্ধান্তকে ভিত্তি ধরে পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্যও ১ একর ৭৫ শতকের পুরো ভূমির বদলে ইউএসটিসির স্থাপনা বাঁচিয়ে শুধু ১ দশমিক ৯ শতক জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। পাহাড়তলী বধ্যভূমির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া আদালত অবমাননার মতো গর্হিত অপরাধ হবে।  

এ অবস্থায় ২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে পাহাড়তলী বধ্যভূমির পুরো জায়গা অধিগ্রহণ করে মুজিববর্ষের মধ্যেই সেখানে একটি জাদুঘর স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।