ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবির টেন্ডার পেতে জালিয়াতি, জিকে শামীমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
চবির টেন্ডার পেতে জালিয়াতি, জিকে শামীমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ 

চট্টগ্রাম: জাল কাগজপত্র দাখিল করে প্রতারণার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জিকে শামীম) গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

 

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, চবি নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

গত বছরের ২২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম।

মামলায় জিকে শামীমের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী। জিকে শামীম জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (২য় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন) দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে তাদের দাখিল করা একক মালিকানাধীন ফার্ম হিসেবে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দুই বছরের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার শর্তে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়।

দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে তাদের দাখিল করা কাগজের সঙ্গে আগের পাঁচবছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচবছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেয়।

মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম ও মো. ফজলুল করিম চৌধুরী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়। ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও টার্নওভার সংক্রান্ত যে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয় তা-ও জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অযোগ্যতা ও অদক্ষতার সুযোগে ব্যবসায়ী হিসেবে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অতি সুক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে ওই কার্যাদেশ হাসিল করে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।