ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কনটেইনার ডিপো চট্টগ্রাম শহরের গলার কাঁটা: সুজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
কনটেইনার ডিপো চট্টগ্রাম শহরের গলার কাঁটা: সুজন ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা ইয়ার্ডগুলো চট্টগ্রামের গলার কাঁটা উল্লেখ করে বিদায়ী চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, এসব ইয়ার্ডের কারণে নগরের প্রবেশমুখসহ বিমানবন্দর, কাঠগড় সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট হচ্ছে।  

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুজন বলেন, প্রডাক্টিভ পোর্টের জন্য গতিশীল শহর দরকার। পোর্ট ডিউস থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে চসিককে।

তাহলে ৭-৮শ' কোটি টাকা আয় হবে চসিকের। কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে চসিককে। ল্যান্ডর অব অরজিনকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ছেলে যেটা আয় করে তাকে মাছের মাথা খাওয়ায়। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে। ইপিজেডের ময়লা পরিষ্কার করবো, শ্রমিকদের আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আপনার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। একেকটি কারখানা চসিককে বছরে ২ হাজার ডলার দিতে পারে৷ দরকার হলে আইন করা হোক। রড ফ্যাক্টরির ইয়ার্ড কি শহরের রাস্তাঘাট?

সুজন বলেন, রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য যেমন প্রস্তুত তেমনি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক কাজের জন্য প্রস্তুত। অনেকবার সংসদ সদস্য ও মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। বিবেচিত হইনি। ছয় মাস সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি দিতে চেষ্টা করেছি। সিটি করপোরেশন আমার জন্য নতুন কিছু নয়। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ১৭ বছর কাছাকাছি ছিলাম। উনাকে দেখে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।  

আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পিসি রোড, যেটি খালের ভিতর ছিল। এখানে অর্থের অভাব ছিল না। দুইজন ঠিকাদার ছিল অদক্ষ, এরমধ্যে একজন জিকে শামিমের পার্টনার। আমি কুমিল্লা থেকে আনালাম। বললাম, কাজ শেষ না করে ফিরতে পারবে না। তার অনেক পাওনাদার ছিল।  মানুষের কষ্ট আমি দেখেছি, দুঃসহ অবস্থা। সড়কের পূর্ব অংশ কমপ্লিট করেছি। ছয় মাস যুদ্ধ করেছি। এলাকার অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি, অনেকের গালমন্দ শুনেছি। গণমাধ্যমের সহযোগিতা আমার চিরকাল মনে থাকবে।  

রাস্তাঘাট পরোটা নয়, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেলা যাবে। স্ট্যান্ড রোডের কাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। করোনায় ঠিকাদার মারা যাওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়ে পড়েছিল। চসিক তদারকি করলে মার্চের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হবে আশাকরি।  

চসিকের সম্পত্তি পাবলিক প্রপার্টি। দিনের ১২টায়ও অনেকে অফিসে আসে না। আমি সোয়া ৯টায় গেট বন্ধ করে দিয়েছি তিন দিন। চসিকে দক্ষ জনবলের অভাব। নিয়োগের নিয়ম বালাই নেই। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ। পৌরসভা চসিক হয়েছে। মানসিকতা পৌরসভার। পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। সবসময় কাজে নেই, হাজিরা আছে। কিছু ভিক্ষুককে সাবেক মেয়র মনজুর আলম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সময় এ ধরনের চাকরি দিয়েছিলেন। এক মাস পর থেকে তারা ভিক্ষা নিতে শুরু করে।  

তিনি বলেন, ১৮ কোটি টাকা বেতন। মার্চ থেকে ১৯ কোটি টাকা হবে। জ্বালানি ও গ্যাসে তিন-সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ। আমার ডাকে পৌরকর বাড়াতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য আপিল বোর্ড বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমি বলেছি যা দিতে চায় নিয়ে নেন। হোল্ডিং ট্যাক্স অটোমেশনে আনতে পারলে আরও বেশি আদায় করতে পারতাম। চট্টগ্রামের মানুষ লাইনে দাঁড়াতে চান না। অনেক কর কর্মকর্তাকে বদলি করেছি, অডিট করিয়েছি। অনেক ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় করে চসিকের বালামে তুলেনি। ব্যবস্থা নিতে কমিটি করে দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।