ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনার সময় একদিনও অফিসে না গিয়ে থাকিনি: ভূমিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
করোনার সময় একদিনও অফিসে না গিয়ে থাকিনি: ভূমিমন্ত্রী  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দেশে করোনার মহামারির সময়েও প্রতিদিন অফিস করেছেন বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

তিনি বলেছেন, অনেকেই বলেছে ঘর থেকে বের না হতে।

অফিসে না যেতে। অনেক মন্ত্রী বলেছেন, আরে ভাই আপনি কি করছেন? আমরা সবাই বাসায় আছি, আপনি কেন বাসা থেকে বের হচ্ছেন? এরপরও আমি কারও কথা শুনিনি।
মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন অফিস করেছি।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালের অন্যতম প্রকল্প সিএমওএসএইচ ক্যানসার হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ক্যানসার এমন একটি রোগ-কী কারণে হয়, কোথায় থেকে হয়? তা বলা মুশকিল। ক্যানসার আল্লাহর প্রদত্ত একটি রোগ। এটি এমন একটি রোগ, আপনার যদি হায়াত থাকে তাহলে বাঁচবেন। অন্যথায় বাঁচা সম্ভব না।  

তিনি বলেন, অনেকে বলছেন শুঁটকি খেলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমি যেহেতু চট্টগ্রামের তাই চট্টগ্রামের ভাষায় বলি-‘উঁনি ছাড়া চলিত পারন ন যাইবো। উঁনি একটু হা পরিব। (শুঁটকি ছাড়া চলতে পারব না। শুঁটকি একটু খেতে হবে। ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও শুঁটকি পছন্দ করেন। ২০১৯ সালে নেভির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীসহ লাঞ্চ করেছিলাম। কয়েকজন মন্ত্রী ছিলো, সেখানে আমিও ছিলাম।

‘প্রধানমন্ত্রীকে দেখছি সবার পাতে শুঁটকি তুলে দিচ্ছেন।  ওই সময় আমি আমার মতো খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, ‘জাবেদ আমার জন্য শুঁটকি আছে, তোমার জন্য নাই...ই। তাই শুঁটকি আমি খাবো। তিনি আবার পরে বলছেন-জাবেদ তুমিও নাও। প্রধানমন্ত্রী জানেন, আমি চট্টগ্রামের সন্তান, স্বাভাবিকভাবে শুঁটকি পছন্দ করবো।  

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, করোনার সময় বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, পথে পথে মানুষ মরবে। হাসপাতালে জায়গা দিতে পারবে না। পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কোটি কোটি মানুষ মারা যাবার আশঙ্কা আছে। আল্লাহর কি অশেষ রহমত, সেরকম কিছু হয়নি। ওইসময় সবার জন্য ভয়াবহ একটি পরিবেশ ছিল। আমি কিন্তু কোনো আতঙ্কে ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ফরমালিনযুক্ত খাবার খাই। আমি জানি না এটাকে কেন ফরমালিন বলে। এটি আসলে প্রিজারভেটিভ। বিদেশে এটিকে প্রিজারভেটিভ হিসেবে দেখে। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত খাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বেও খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিজারভেটিভ দেয়। তবে আমাদের দেশে পরিমাণটা একটু বেশি দিয়ে ফেলে।  

‘আমার মনে হয়, করোনাকালে এটি আমাদের কাজ দিয়েছে। আমরা লাভবান হয়েছি। না হলে আর কোনো কারণ খুঁজে পাই না। গ্রামে-গঞ্জে মাস্কও পরে না। এরপরও করোনা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। ’ বলেন জাবেদ।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ হাসপাতালটির জন্য পাঁচ কোটি টাকার অনুদান দেন। এ ছাড়া দৈনিক আজাদী পরিবারের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়। দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক লায়ন গভর্নর কামরুন মালেক, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, নির্বাহী সম্পাদক পারিহা মালেক ও নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক।

বাংলাদেশ সময়:১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।