চট্টগ্রাম: উচ্চ আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযানে নামছে স্থানীয় প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতর মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই অভিযান শুরু করবে।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের অভিযানে কিছু অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং কিছু অবৈধ ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. জমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা প্রথম পর্যায়ের অভিযানে ৭৭টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৫টি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে মোট ১৮১টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানে এসব ইটভাটার মধ্যে যেগুলো চালু আছে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে উচ্চ আদালতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর একটি রিট করা হয়।
জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতর ইটভাটা বন্ধের কর্যক্রম শুরু করলেও লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলাসহ কিছু কিছু জায়গায় ইটভাটা বন্ধ না করে শুধু জরিমানা করে।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ও এসএম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই আবেদনে বলা হয়- জরিমানা করার পরেও উক্ত ইটভাটাগুলো আবারও চলছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
৩১ জানুয়ারি বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে চট্টগ্রামের যেসব ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে তা সহ লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত সব অবৈধ ইটভাটা ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে আদালতে এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এমআর/এসকে/টিসি