ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মশা মারা শুরু করলেন চসিক মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
মশা মারা শুরু করলেন চসিক মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম: মশার বিস্তার নাগরিক দুর্ভোগ ও অস্বস্তির বড় অসহনীয় উপসর্গ। তা নিরসনে ২০ দিনের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নতুন থানা চত্বরে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে প্রতিশ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ বাস্তবায়ন কার্যক্রম সূচনা করেন মেয়র। এ সময় ফগার মেশিনে মশার ওষুধ ছিটিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

মশক নিধনে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার স্তূপ করা আবর্জনা, বর্জ্য পরিষ্কার করবে। কিন্তু শুধু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়।  

তিনি বলেন, মশক নিধনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা। নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশক প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল বিনাশ এবং বর্জ্য-আবর্জনা সরিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।  

তিনি সতর্ক করে দেন কেউ নালা নর্দমায় বা খালে ও পানি চলাচলের পথে পলিথিন ও প্লাস্টিক, বর্জ্য-আবর্জনা ফেলতে পারবেন না। ফেললে এটা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। মনে রাখতে হবে সিটি করপোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর।

তিনি বলেন, মশক নিধনে সিটি করপোরেশনগুলো যে ওষুধ ছিটায়, সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মশার এই ওষুধের মান নির্ণয়ে তা ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে।

নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র পদে ৫ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে শতভাগ আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক স্বস্তি প্রদানে আমার সামর্থ্য ও সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা উজাড় করে দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।  

তিনি বলেন, নগরের অনেক সড়ক যান ও জনচলাচল অনুপযোগী। এগুলো একসঙ্গে সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব নয়। যেগুলোর বেশি বেহাল অবস্থা, সেগুলো আগে-ভাগে মেরামত ও খানা-খন্দ ভরাট করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা, ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত-প্রকৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।  

মেয়র বলেন, কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী এবং সচেষ্ট। যেকোনো নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে তা আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্ম্মা, মো. হাছান রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম, আর্কিটেক্ট আবদুল্লাহ ওমর প্রমুখ মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এআর/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।