চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে জুয়া কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান মিরণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুন) তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সিজেকেএস সহ সভাপতি মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্য এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। সাত পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মিরণকে স্টেডিয়াম এলাকায় আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা, রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য পদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্য বিদ্যুৎ বিল প্রায় ১০ লাখ টাকা আদায়, জুয়ার বোর্ড পরিচালনায় উপার্জিত প্রায় ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে তা অ্যাসোসিয়েশনের কোষাগারে জমা দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত কমিটি মিরণ ছাড়াও রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ সাহাকে ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সদস্য পদসহ সব পদ থেকে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সব কার্যক্রম থেকে তিন বছর বহিষ্কার, জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী সীমান্ত সেন, তার ভাই কৃষ্ণ কমল সেন ও বিপুল বৈদ্যকে ১০ বছরের জন্য স্টেডিয়াম এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করারও সুপারিশ করেছে।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গ্যালারিতে চট্টগ্রাম ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে গত ১ জুন রাতে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার ও পৌনে ৭ লাখ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
সিজেকেএস সহ-সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনে জুয়ার আসর বসানোর বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মিরণকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২১
এসি/টিসি