ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করোনার টিকা বাণিজ্য:  হুইপ পোষ্য রবিউলের বিরুদ্ধে জিডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
করোনার টিকা বাণিজ্য:  হুইপ পোষ্য রবিউলের বিরুদ্ধে জিডি

চট্টগ্রাম: হুইপ সামশুল হকের সম্মতিতে টিকাবাণিজ্য ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা প্রদানের অভিযোগে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এমটি) রবিউলের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  

গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ পটিয়া থানায় জিডি করলেও শনিবার (৭ আগস্ট) জিডি বিষয়টি প্রকাশ পায়।

 

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেন।

 যেহেতু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই কোল্ড স্টোরে সংরক্ষিত কোভিড-১৯ টিকার সংখ্যা এবং সরবরাহকৃত টিকার সংখ্যার গড়মিল পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ থানায় জিডি করেন।  জিডি নম্বর-১৮৫।  

গত ৩০ ও ৩১ জুলাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শুধুমাত্র হুইপ সামশুল হকের  সম্মতি নিয়ে টিকা কার্যক্রমের আয়োজন করে অভিযুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এমটি) রবিউল। শুধু করোনা টিকা কার্যক্রম নয়, ইপিআইয়ের বিভিন্ন টিকা নিয়েও বাণিজ্য ছিল তার। করোনা শুরুর পর থেকে চাকরিতে যোগদানের জন্য করোনার যে নেগেটিভ প্রত্যয়ন প্রয়োজন হতো তাও টাকার বিনিময়ে সরবরাহ দিতেন হুইপ বাহিনীর ওই অভিযুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।  

এর আগে গত ৩ আগস্ট করোনার টিকা বাণিজ্যের অভিযোগে রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বরখাস্তের পর আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) কাজল কান্তি পালকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্তি বদলির আদেশ দেওয়া হয়।  

গত ২ আগস্ট হুইপ সামশুল হকের আশীর্বাদপুষ্ট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রবিউলের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে টিকা নিরাপত্তার ‘কোল্ড বক্স’ ছাড়াই টিকা স্থানান্তর, রেজিস্ট্রেশন কার্ড জালিয়াতিসহ সরকারি তদন্তে ধরা পড়েছে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ‘হুইপ বাহিনীর’ টিকাবাণিজ্য। অনুমতি ছাড়া ও যথাযথ নিয়ম না মেনে দেওয়া হয় ২৬শ’ টিকা। দুই দিনে দেওয়া ২৬শ’ টিকার উপস্থাপিত রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মধ্যে অন্তত ২২শ’ কার্ডই ভুয়া। অনুমতি ছাড়াই এ টিকাদান প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারীর মতোই হুইপ সামশুলের ভাই মহব্বত নিজেই টিকা পুশ করেছেন টিকাপ্রত্যাশীদের।  

এই অবৈধ টিকদান কার্যক্রম সফল করতে ঘটা করে হুইপ ও নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণকৃত স্থিরচিত্রে দেখা যায়, রশিদাবাদ আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় সিরিঞ্জ হাতে হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত টিকাদান করছেন। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা দায়িত্বশীল কেউ না হয়েও তিনি কীভাবে এ দায়িত্ব নিলেন- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।  

আরও পড়ুন>>

>>>পটিয়ায় টিকা কেলেঙ্কারির হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: বদিউল আলম
>>> হুইপ সামশুল বাহিনীর রবিউল টাকা নিয়ে দিত করোনা নেগেটিভ প্রত্যয়ন
>>> হুইপ সামশুল বাহিনীর টিকা বাণিজ্যে রবিউল অবশেষে বরখাস্ত
>>> তদন্তে ধরা পড়েছে ‘হুইপ বাহিনীর’ টিকা বাণিজ্য, গায়েব সিসিটিভি ফুটেজ 
>>> পটিয়ায় হুইপের সম্মতিতে রবিউলের টিকাবাণিজ্য
>>> পটিয়ায় হুইপের সম্মতিতে টিকাবাণিজ্য: ঘটনাস্থলে তদন্ত টিম 
>>> পটিয়ায় টিকা কেলেঙ্কারি: স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় হুইপের ভাই মহব্বত

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২১্

এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।