ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শোক দিবসে ১ হাজার মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খাবার বিতরণ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
শোক দিবসে ১ হাজার মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খাবার বিতরণ  ১ হাজার অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১ হাজার অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।  

রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এ উপলক্ষে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও একেএম আকতার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ড. ওমর ফারুক রাসেল।  

বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সজীব, সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য রিপন চৌধুরী, হাসান মো. আবু হান্নান, ইকো’র সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবু ইউসুফ সোহেল ও জহুর আহমদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পরিচালক শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রাজু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন বিভিন্ন থানা কমান্ডের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১১ আগস্ট থেকে ৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১ হাজার অসচ্ছল ও অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এ ঘটনার এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম ও কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন পৃথিবীর বুকে বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। এই নাম কেউ কোনো দিন মুছে ফেলতে পারবে না।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। ১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।  

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার কোনো শেষ নেই। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাঁকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই আজ ইতিহাস বিকৃত করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বেঁচে থাকতে হবে। জাতির পিতা হত্যাকারী ও ইতিহাস বিকৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।  

আলোচনা শেষে নগরের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে, এক্সেস রোড, নয়াবাজার, বড়পোল, নিমতলা মোড়, স্টিলমিল বাজার, কাটগড় আজিজ চত্বর, শুভপুর বাস স্টেশন ও কদমতলী মোড়ে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১ 
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।