ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শীতের আগাম সবজি বাজারে, দাম চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
শীতের আগাম সবজি বাজারে, দাম চড়া ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মৌসুম না এলেও বাজারে উঠেছে শীতের বেশ কিছু সবজি। এরমধ্যে রয়েছে টমেটো, শিম, ফুলকপি, গাজর।

কিন্তু দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।  

অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম কমছেই না।

কেজিপ্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। বেড়েছে ব্রয়লার, লেয়ার, সাদা কক ও সোনালি মুরগির দাম।  

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগরের চকবাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, নানা ধরনের শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বাজারে আগাম উঠেছে শিম, দাম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।  

অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁকরোল ৪০ টাকা, দেশি করলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লতা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজিতে এবং লেবু প্রতি ডজন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আপাতত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এ সপ্তাহ থেকে বাজারে শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বেড়েছে। আরও বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন দাম কমতে পারে।

মাছের বাজারে সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫৫ থেকে ১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ (ফার্ম) ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, দেশি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ইলিশ মাছ ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা, রুই মাছ ওজনভেদে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা, কাতল মাছ ২৮০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩৫ থেকে ১৮০ টাকা এবং ট্যাংরা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর হোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলা থাকায় মুরগির দামও বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে। বাজারে খাসির মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। আর হাঁসের ডিম প্রতি জোড়া ২০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ১৮ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এদিকে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন (দেশি) ৫০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন (আমদানি) ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল ও কোয়ালিটি তেলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। বোতলজাত তেল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, সরিষার তেল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।  

দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মাসকলাই ডাল ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, অ্যাংকার ডাল ৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, ছোলা বুট ৭০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা এবং আটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চকবাজারে বাজার করতে আসা গৃহিণী রিজিয়া বেগম বলেন, প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। যে পণ্যই কিনি দাম বেশি। যাদের আয় নির্দিষ্ট, তাদের জন্য এভাবে চলা কষ্টের। আমাদের নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে সবকিছুই করতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এমআই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।