চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১৩ বিভাগের ১৯টি স্থায়ী ও ৩টি অস্থায়ী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২৫ নভেম্বর রাতে। তবে রাত পোহাতেই দেখা যায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে একটি পদ।
বাংলানিউজের হাতে আসা দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রথম প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১৬ নম্বরে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্থায়ী প্রভাষক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আগের তারিখ কিংবা অন্য কোনো পদের সংশোধন করা হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষাছুটির বিপরীতে অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন এনএম ইসতিয়াক চৌধুরী। বিভাগের একটি পদে স্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত ছিল আগে থেকেই। গত ২৩ অক্টোবর চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার চবির শিক্ষক সেলে এ বিভাগের একটি পদে নিয়োগের সম্মতি দিয়ে সই করেন। তবে ২৮ অক্টোবর বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিতে আরও দুইজন নতুন শিক্ষকের বিষয়ে সম্মতি দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম। প্ল্যানিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যের নতুন দুই শিক্ষক নেওয়ার বিষয়ে দ্বিমত থাকায় সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত না হলেও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি পদে স্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত ছিল।
গত ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতেও দেখা যায় উপাচার্যের সম্মতির বিপরীতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন স্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর ২৩টি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি পদে নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রাতারাতি বিজ্ঞপ্তিটি অজানা কারণে তুলে নিয়ে ২৬ নভেম্বর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে বাদ দেওয়া হয় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিভাগের একজন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দেওয়া সত্ত্বেও ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি গত ২৫ নভেম্বর রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রাতেই আবার বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়নি। কে বা কারা এর পেছনে জড়িত সেটাই বড় প্রশ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ পদের নিয়োগের বিষয়টি পরের বিজ্ঞপ্তিতে যাবে। এটি কোনো সমস্যা নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
এমএ/টিসি