ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভিটামিন ‘এ’ শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস করে: স্বাস্থ্য পরিচালক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
ভিটামিন ‘এ’ শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস করে: স্বাস্থ্য পরিচালক ...

চট্টগ্রাম: জেলা পর্যায়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ৪ দিনব্যাপী (১১-১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২১।  

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে এ ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি-কর্ণফুলী) শিরীণ আকতার।  

স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।

উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল চন্দ্র নাথ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্র, স্বাস্থ্য পরিদর্শক অলক দাশগুপ্তসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।  

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে এবং হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ভরা পেটে খাওয়ালে ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় করোনাকালীন এই কঠিন সময়ে ৪ দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনও বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।  

তিনি আরও বলেন, কোনও শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে জেলার প্রত্যেক উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ, হাটবাজার, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অপপ্রচার ও গুজব রোধে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা  হয়েছে।
 
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২শ ইউনিয়নের ৬শ ওয়ার্ড, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি  ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ জন শিশুকে  ভিটামিন ‘এ’  ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫১ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৫২ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৫৭ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৬৮৬ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, ১৫৩ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫১০ জন সিএইচসিপি ও ৮২ জন স্যাকমো নিয়োজিত রয়েছে।  

সিভিল সার্জন আরও জানান, চলতি ২০২১ সালের ৫-১৯ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী মোট ৮৮ হাজার ৯৬০ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ৯৮ শতাংশ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৪ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, যার অর্জিত হার ৯৮.৩৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।