ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আদালত চত্বরে সাক্ষীকে মারধর, আহত আইনজীবী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
আদালত চত্বরে সাক্ষীকে মারধর, আহত আইনজীবী

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নারাজি দিতে আসা মামলার সাক্ষী ও ভিকটিম তৌহিদুল ইসলামকে আদালত চত্বরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফৌজুল আমিন আহত হয়েছে। আহত তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট  ওহীদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, গত গত বছরের ২০ আগস্ট আবু সুফিয়ান চৌধুরী ও তৌহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় বাজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় আবু সুফিয়ান বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুইজনকে আসামি করে বাকি আটজনকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ।  

তিনি বলেন, ঢাকায় তৌহিদ চিকিৎসা করেছেন, সেখান থেকে কোনো ধরণের মেডিক্যাল কাগজপত্র সংগ্রহ করেনি। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। মঙ্গলবার ধার্য্য তারিখে মামলার বাদী আবু সুফিয়ান ও ভিকটিম তৌহিদুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত হয়ে নারাজি দাখিল করে। নারাজির শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন। নারাজি দেওয়ায় তাপস চেয়্যারম্যানের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহাম্মদ খন্দকারের আদালতে মামলার শুনানি শেষে নিচতলায় নামার সঙ্গে সঙ্গে তৌহিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে  আইনজীবীরা তৌহিদকে নিয়ে যেতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে নাজিম উদ্দীন প্রকাশ কোয়েল নাজিম নামে এক ছেলে খুর দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময়  তৌহিদ ও সিনিয়র আইনজীবী ফৌজুল আমিন আহত হয়।  

পরে কোর্টের নির্দেশে সিজিএম বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং জেলা কোর্ট পরিদর্শকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা এ আইনজীবী।  
এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি)। এ নিয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।  

অভিযুক্ত সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, সত্যি কথা ঘটনাস্থলে ভিডিও ফুটেজ আছে, সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা দেখা যাবে। আজকে আদালতে অভিযোগপত্র বাতিল হওয়ার জন্য এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।  

ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক মো. হুমায়ন কবিরের সঙ্গে কথা বলা হলে সাক্ষী দেওয়ার জন্য কোর্টের বাইরে ছিলে বলে জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।