চট্টগ্রাম: নগরের চান্দগাঁও থানার স্ত্রী হত্যা মামলায় আনিসুল ইসলাম (৩২) নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে এ আদেশ দেন।
আনিসুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা শওকত আবাসিকের মাসুদা খাতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ফ্লাটের ভাড়া বাসায় যৌতুকের দাবিতে মাহমুদা খানম আঁখিকে মারধর করা হয়। এতে পেটে আঘাতের ফলে নাড়িভুঁড়ি (আঁতুড়ি) ছিঁড়ে যায়। গত ১৮ ডিসেম্বর নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুনরায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় স্বামী আনিসুল ইসলাম, স্বামীর মা ফরিদা আক্তার (৫০) ও স্বামীর বোন হামিদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মৃত মাহমুদা খানম আঁখি, নগরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আনিসুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্ত্রী হত্যায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আনিসুল ইসলামের ভাই জাহেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভাবি আর ভাইয়া প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। ভাবির বাবা মেনে নিলেও ভাবির মা ও ভাই বিয়ে মেনে নেননি। ভাবিকে অপারেশন করার আগেও ভাবির বাবার সঙ্গে ভাইয়া ও ভাবির কথা হয়েছে। ভাবি অপারেশনের পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ভাবির মা ও ভাই মিলে আমার ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছেন। আমি চাকরির কারণে চট্টগ্রামের বাইরে অবস্থান করছি।
আদালতের প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, আনিসুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালতে আসামির কোনো রিমান্ড ও জামিন আবেদন করা হয়নি। আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এমআই/টিসি