ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স পেল চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২২
ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স পেল চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দেন ভারতী সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী

চট্টগ্রাম: বছরের শুরুতে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ ধরনের উপহার যে কাউকে আনন্দিত করবে।

 

রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয় চত্ত্বরে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি গ্রহণকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী মেয়রের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। বক্তব্য দেন সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।  

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে ১১৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। যার ধারাবাহিকতায় চসিক এ অ্যাম্বুল্যান্স উপহার পেল। যাতে আইসিইউ সুবিধাসহ ট্রমা রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।  

মেয়র বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। প্রতিবেশী হিসেবে একটি রাষ্ট্রের যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন অতীতেও ভারত তা রেখেছে। যার প্রমাণ আমরা ১৯৭১ সালে পেয়েছি। সম্প্রতি করোনাকালেও তারা টিকা উপহারসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন। যার মধ্যে পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন তা ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের মধ্যে আগামীতেও বিরাজ করবে।  

মেয়র নতুন বছরের শুরুতে ভারত সরকারের উপহারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সহকারি হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, আমার কূটনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামে আমি দীর্ঘ চারবছর সময় অতিবাহিত করলাম। এর আগে ঢাকায়ও কাজ করেছি। সব মিলে প্রায় ১০ বছরের মতো বাংলাদেশে আমার কর্মজীবন কাটল। এই সময়টুকু আমার বেশ আনন্দে কেটেছে। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রামে আমার বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হয়েছে। কারণ এখানকার অধিবাসীরা অতিথিপরায়ণ।  

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাশে থাকা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভারত সরকার আনন্দিত। আমরা যে অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দিলাম তাতে নতুন অত্যাধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটি রোগীদের মানসম্মত জরুরি সেবা ও ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানে প্যারামেডিক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য করবে।

>> মানুষের জীবন বাঁচানোই আমাদের মূল লক্ষ্য: ফজলে করিম

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।