ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আটকে গেল বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
আটকে গেল বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন ...

চট্টগ্রাম: চার বছর আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরনগর চট্টগ্রামে মাত্র এক ঘণ্টায় যাওয়া যাবে বুলেট ট্রেনে। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নও হয়েছে।

কিন্তু এখন সেই বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন আটকে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের রেলপথের অবকাঠামো উচ্চগতির ট্রেন চলাচলে সহায়ক নয়।

এই মেগা প্রকল্পে হাত দেওয়ার আগে বর্তমান সিঙ্গেল লাইনগুলোকে ডাবল লাইনে রূপান্তরসহ চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও, দেশের কোনও রেলপথে বৈদ্যুতিক ট্রেনই চালু করতে পারেনি রেলওয়ে। বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর আগেই বুলেট ট্রেন চালুর প্রকল্প বাস্তবসম্মত নয়। যেখানে বছর না যেতেই ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন অকেজো হয়ে যায়, সেখানে বুলেট ট্রেন চালানো কঠিন।  

সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিশদ নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আপাতত পরিকল্পনা নেই বলে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রকল্পটি আমরা পরিকল্পনার মধ্যে রাখিনি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিশদ নকশা প্রণয়ন আমরা করেছি। তবে এটা নিয়ে আমরা একটু ধীরে চলছি।

জানা গেছে, রেল সেবার মানোন্নয়নে ২০১৭ সালে বুলেট ট্রেন চালুর প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৯৬ হাজার কোটি টাকা। রেলপথে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১১৮ কিলোমিটার রেলপথ আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিলো। ২০০৯ সালের পর কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার সিংগেল লাইন রেলপথ ডাবল লাইন করা হয়। বাকি ৭২ কিলোমিটার সিংগেল লাইন রেলপথ ডাবল লাইন করতে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেকের।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু করে। প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং বিশদ নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করে গত অক্টোবরে রেলওয়েকে জমা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নভেম্বরে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।