ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পোশাক রফতানির চালানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাচারের অপচেষ্টা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
পোশাক রফতানির চালানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাচারের অপচেষ্টা! ...

চট্টগ্রাম: মাত্র চারটি পোশাক রফতানির চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা উদঘাটন করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে চালানগুলো ফিলিপাইন রফতানির জন্য কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামের বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়।

রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৬৯ প্লটের রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের ঠিকানার আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের এক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের চালান এগুলো। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
 

কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা বাংলানিউজকে জানান, চারটি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে। রফতানিকারক ঘোষিত ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের (প্রতি চালানে ৬ হাজার ৮৬ পিস) বিপরীতে মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য ১ দশমিক ২৩ ইউরো) বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ রফতানিকারক এ চার চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করে।  

তিনি জানান, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রফতানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে দোষীদের চিহ্নিত করে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।