চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রাম বাংলার লোকজ আবহ চিত্র। গত ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার এ প্রস্তুতি।
চবির চারুকলা ইনিস্টিটিউটে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য দেওয়ালে ম্যুরাল অংকন, পটচিত্র, পুতুল ও মুখোশ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর এ আয়োজন না হলেও এবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট। ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যে এবার হবে বর্ষবরণ উৎসব।
সরেজমিন দেখা যায়, শিল্পী রশীদ চৌধুরী চত্বরে শিক্ষার্থীরা কেউ আঁকছেন মুখোশ, কেউ বাঘ, কেউ আবার খরগোশ, পাখি, পেঁচাসহ নানা রঙের মুখোশ তৈরি করছেন। এছাড়া ছাত্রদের একটি অংশ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বুনছেন ফোক ঘোড়া। ছাত্রীরা বানাচ্ছেন ফোক পাখি। ইনস্টিটিউটের দেওয়ালে আঁকা হয়েছে গ্রামীণ ও লোকজ ম্যুরাল। আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শিল্পী রশিদ চৌধুরী চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম ব্যাচের চারুকলার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছে নববর্ষের প্রস্তুতি। প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। ইতিমধ্যে চারুকলার দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার মধুমুণি, যামিনী রায় ও গাজির পটের চিত্রকর্ম। চবির চারুকলা প্রণেতা প্রয়াত শিল্পী রশিদ চৌধুরীর ৯০তম জন্মবাষির্কীকে এবারের আয়োজন উৎসর্গ করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আজকের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করবো আমরা। আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরের কাজির দেউরী সার্কিট হাউস প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় চারুকলায় এসে শোভাযাত্রা শেষ হবে। এরপর দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া চারুকলা চত্বরে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে। আমরা সুন্দরভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এমএ/এসি/টিসি