ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ঈদ বাজারে

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
রাতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ঈদ বাজারে ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমজমাট ঈদের বাজার। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে।

চট্টগ্রামের ঈদ বাজারে ইফতারে পর থেকে সেহেরির আগপর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।
বেচাকেনাও জমজমাট।  

রোববার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা। নগরের চকবাজার মোড়ে ব্যাপক যানজট। একদিকে গাড়ি তো অন্যদিকে মানুষের রাস্তা পারাপারের জটলা। দলবেঁধে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করতে এক শপিং মল থেকে ছুটছেন অন্য শপিং কমপ্লেক্স।  

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের প্রতিটি শপিং মলে ঈদের আমেজ। সবখানেই ক্রেতাদের সরব উপস্থিত। মার্কেটগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শহরের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন মার্কেটে। তাই প্রতিদিন ইফতারের পর থেকে সেহেরির আগ পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে দোকানগুলোতে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি। পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি, প্যান্টের দোকানসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানেও রয়েছে আলাদা ভিড়।

মোহাম্মদ বাবুল আহমেদ। বাড়ি নগরের মুরাদপুর এলাকায়। স্ত্রী, তিন মেয়ে নিয়ে এসেছেন ঈদের জামা কিনতে। চকবাজারের গুলজার, মতি টাওয়ার আর মতি কমপ্লেক্স থেকে দুই মেয়ের জন্য জামা কিনেছেন। কিন্তু এ মার্কেটগুলোতে অন্য মেয়ের জামা পছন্দ হয়নি। এর পর কেয়ারি ইলিশিয়াম শপিং মলে কাপড় দেখে পাশেই বালি আর্কেডে গিয়ে তারা জামা কিনেছেন।  

জিইসি এলাকার সানমার, সেন্টাল প্লাজা, ইউনুসকো শপিং সেন্টারে দেখা যায়, রাত ৮টা থেকেই ক্রেতা সমাগম শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্রেতা, শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, ওড়না, প্যান্ট পিস, শার্ট পিস ইত্যাদি বেশি কিনছেন। তবে বেশিরভাগ ক্রেতার অভিযোগ দাম একটু বেশি। এসব শপিং মলে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে। পছন্দে হলেই কিনে নিচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত জামাটি।

আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট, দুই নম্বর গেইট, টেরিবাজার, বহদ্দারহাটসহ প্রায় সব মার্কেটে ক্রেতাদের সবর উপস্থিতি।  

ঈদের জামা কিনতে আসা হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রিফা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আরও ৮ দিন বাকি থাকলেও তিনি আগে ভাগেই এসেছেন, দাম কম পাওয়ার আশায়। তিনি তার কন্যাশিশুর জন্য নতুন জামা ও ভাগনির জন্য থ্রি-পিস কিনতে এসেছেন। তবে তিনি বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে অভিযোগ করেন, দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা করোনার দুই বছরের ব্যবসা রমজানের এক মাসেই পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন।  

কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের উপজেলায় যে থ্রি-পিস ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টকায় পাওয়া যায় এখানে ৩ হাজার ৫০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের কাপড়ের দাম আমাদের ইউনিয়নের মার্কেটগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ।  

নগরের আভিজাত শপিংমল আফমি প্লাজার সহকারী ব্যবস্থাপক স্বপন মুহরি বাংলানিউজকে বলেন, দিন যত বাড়ছে ক্রেতার সমাগম তত বাড়ছে। তবে অনেকেই পণ্যের দাম কম পাওয়ার আশায় আগেভাগেই মার্কেটে এসেছেন। আমাদের এখানে বেচাকেনা ভালো।  

অন্যদিকে তার পাশেই মিমি সুপার মার্কেট সেখানে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাম বেশির নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা।

মিমি সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বাংলানিউজ বলেন, আমাদের এক দামের পণ্য। তারপরেও রমজান উপলক্ষে আমরা আমারা ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। কোনো রকম অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।