চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন বাংলানিউজকে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গাউসিয়া কমিটির অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিএম ডিপো থেকে ২৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমাদের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ডিপোসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন যে মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বীভৎস। চেনার উপায় নেই।
মরদেহ নেওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তে, করা হবে ডিএনএ টেস্ট
মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার জোনের সহকারী (এসি) কমিশনার শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠাচ্ছে। সেখানে মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘন্টা, আপডেট ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি