চট্টগ্রাম: নগরের কাজীর দেউড়িতে চাঁদার দাবিতে মো. মহিউদ্দীন প্রামাণিক প্রকাশ মো. মঈনুদ্দিনকে হত্যায় জড়িত মো. ফয়সাল ইসলাম বাবু প্রকাশ পিস্তল বাবুসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে কোতোয়ালী থানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ১ নম্বর ইউনিয়নের নুর ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ির লোকমান হোসেনের ছেলে মো. ফয়সাল ইসলাম বাবু ওরফে পিস্তল বাবু, একই জেলার নবীনগর থানার শিবপুরের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৯) ও নগরের চকবাজার থানার ভুলু সওদাগরের ১ নম্বর গলির মৃত হোসনে আরা বেগমের ছেলে মো. রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দীন বলেন, মঈনুদ্দিন ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার ইয়াছমিন আক্তার টিনার কাছ থেকে পিস্তল বাবু ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, পিস্তল বাবুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার নোবেল চাকমা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম ও কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ছুরিকাঘাতে ব্যবহার করা টিপ ছোরা। পিস্তল বাবু একাধিকবার মোবাইল নম্বর, লোকেশন পরিবর্তন করছিল। হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে মোটরসাইকেলযোগে কক্সবাজার যায়, সেখান থেকে মাইক্রোবাসে কুমিল্লা যায়। এরপর সিএনজি অটোরিকশাযোগে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে পিস্তল বাবু নামার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা তাকে চিহ্নিত করে। পরে স্থানীয়রাও আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এমআই/এসি/টিসি