চট্টগ্রাম: করোনার কারণে গত বছর কোরবানির গরুর বাজার জমজমাট হয়ে উঠেনি। বেপারিরাও ব্যবসায় তেমন ভালো করতে পারেননি।
এ অবস্থায় বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আনতে যেমন সমস্যা, তেমনি হাটেও ক্রেতাদের সমাগম ও বেচাকেনা তুলনামূলক কম হওয়ার আশংকায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
একটু বৃষ্টিতেই নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কোরবানির বাকি আর এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে নগরের বিভিন্ন গরুর বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের গরু। হাটগুলোতে বেচাকেনা তেমন শুরু হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। মনে করেছিলাম এ বছর ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে নগরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। যার কারণে বাজারে মানুষ আসে না। বেচাকেনা কমে যায়। বাজারে গরু থেকে যায়। শেষের কয়েকদিন অর্থাৎ ঈদের আগে সবাই গরু কিনতে আসে। তখন কম দামে গরু ছেড়ে দিতে হয়। আমাদের ব্যবসায় লোকসান হয়।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে নগরের সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট, কর্ণফুলী গরু বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট ও দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠের গরুর বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসতে শুরু করে। তবে বেচাকেনা এখনো জমজমাট হয়ে উঠেনি।
সাগরিকা বাজারে প্রতিদিনই আসছে কুষ্টিয়ার গরু। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে গরুর গোসল, স্যালাইন, খড়, ভূষি খাইয়ে তরতাজা করার চেষ্টার অন্ত নেই বেপারীদের।
বিবির হাট গরুর বাজারের বেপারী আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছরের লোকসান এ বছর কাটিয়ে ওঠার একটা সুযোগ ছিল। গরুও মজুদ করেছি। কিন্তু বৃষ্টির ভয় কাজ করছে। বৃষ্টির কারণে গরুর দাম কমে যেতে পারে। ক্রেতারা চলে যেতে পারে খামারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
বিই/এসি/টিসি