চট্টগ্রাম: লিফটে ওঠা নিয়ে লিফটম্যানের সঙ্গে তর্কাতর্কির জেরে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অর্থোপ্রেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ও হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে।
রোববার (৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলামের ভাই মোতাহের হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রেজাউল ইসলাম ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগম চমেক হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় তাদের এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন।
এ সময় লিফটে থাকা কয়েকজন তাকে মারধর শুরু করেন। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে হাসপাতালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে যান। পরে সেখানে আরেক দফা মারধর করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই আরও বলেন, আমার ভাই লিফটে বাকবিতণ্ডার সময়ও জানতো না তিনি একজন চিকিৎসক। এমনকি তিনি এও জানতো না হাসপাতালে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ঘটনাটি সুষ্ঠু সমাধান না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে এবং মেসেজ দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
পরে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তারা যে লিফটে উঠতে চেয়েছেন, সেই লিফটটি হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য। ওই ব্যক্তিকে লিফটে না উঠতে নিষেধ করলে লিফটে থাকা কর্মচারী ও হাসপাতালের একজন অধ্যাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি অধ্যাপকের গায়ে হাতও তোলেন।
পরিচালক আরও বলেন, ঘটনা শোনার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যাই। যেহেতু একজন চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলেছেন, তাই আমরা সরাসরি থানায় মামলার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।
পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আমরা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। এতে একজনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এমআর/টিসি/এমজেএফ