চট্টগ্রাম: দুই ঈদে প্রতিবছর বাঁশখালী উপজেলার ১২ নম্বর ছনুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার (১১ জুলাই) শেকড়ের টানে গ্রামে ফেরা শিরোনামে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আলোকিত ১২ নম্বর ছনুয়া ইউনিয়ন।
সরকারের অন্যতম পরিকল্পনা গ্রাম হবে শহর এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ছনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা যারা সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বিভিন্ন দফতরে বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, গুণী ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি, প্রবাসী, দেশ-বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম কলেজের রসায়নবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আবু ছৈয়দ মোহাম্মদ মুজিব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেজাম উদ্দীনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হুমায়ন কবির বাবুল (মাদ্রাসা সুপার), ওমর ফারুক (পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা), আবুল মনসুর মোহাম্মদ হাবীব (খাদ্য কর্মকর্তা), মোহাম্মদ আকতার (আইন কর্মকর্তা), সানাউল্লাহ (সিনিয়র শিক্ষক), এনামুল হক (সিনিয়র শিক্ষক), রবিউল হোসেন (সিনিয়র শিক্ষক), আবু নোমান চৌধুরী (সমাজসেবক), আলমগীর চৌধুরী (সমাজসেবক), ছরওয়ার আলম (স্বাস্থ্য সহকারী), মো: আজিজুর রহমান (বেসরকারি চাকরিজীবী)।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত মো. জমির উদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, রবিউল আলম, শহিদুল নাছের (প্রবাসী), মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা নাছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মিছবাহ, অ্যাডভোকেট তানজিল, ইউপি সদস্য ইমরান, কালু, গফুর, বাহাদুর।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে অধ্যায়নরত একরামুল হক, সাকিব হোসাইন, দেশ বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মোহাম্মদ বেলাল (চবি), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (চবি), আরিফ (চবি), নেজাম উদ্দিন (চীন), মুবিনুল হক (টেক্সটাইল), কলেজ শিক্ষার্থী জাহেদ, মিজান, রেজাউল করিম, জুনাইদ, এহসান, হামিদ, শহীদুল হাসান, শফিউল আলম, খোরশেদ, রহুল আমীন, শফি, আব্দুন নূর, রিয়াজ, মিশকাতুল, আব্বাছ, আদির, সরোয়ার, জিহান, জুবাইরুল, জয়নাল।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত
আলোকিত ১২ নম্বর ছনুয়া ইউনিয়নের উদ্যোগে ৯টি ওয়ার্ডের পিছিয়ে পড়া গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি সমাজে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠা এবং স্কুল ঝড়ে পড়ার হার কমানোর জন্য শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী নিয়ে মোটিভেশনাল সেমিনার আয়োজন করা, সামাজিক অবক্ষয় রোধে নানামুখী কার্যক্রম, অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফ্রি চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, গ্রামে উন্নত জীবনের জন্য যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণে সহযোগিতা করা, উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় যারা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে তারাও এই সংগঠনের মাধ্যমে শেকড়ের টানে গ্রামে ফেরা প্রতিপাদ্য বুকে ধারণ করে মাঝেমধ্যে গ্রামের মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সেতুবন্ধন আরও উন্নত এবং মজবুত করা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
বিই/টিসি