চট্টগ্রাম: মীরসরাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত শনিবার মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. তুরিন (২৭), ইউসুফ (২৮), মো. মাসুদ রানা (২৭), আবির (৩৫), সোহেল মেম্বার (৩৫) ও মো. হাসান।
জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৩ আগস্ট সকালে আমার স্বামী এবং আমার দুই মেয়ে মুনতাহা কারিনা বৃষ্টি (২০) এবং নুসরাত আফরিন বিথী (১৭) সহ আমাদের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালে যাই। আমরা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় দুপুরে তুরিন ও মাসুদ সহ ৮/১০ জন হাসপাতালে ঢুকে আমার স্বামীকে একটা কক্ষে নিয়ে মারধর শুরু করে।
তিনি বলেন, আমি এবং আমার দুই মেয়ে সহ আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা আমাদের রুমে ঢুকতে না দিয়ে উল্টো গালিগালাজ করে এবং আমাদেরও মারধরের চেষ্টা করে। তারা আমার স্বামীকে প্রায় তিন ঘণ্টা অফিস কক্ষে মারধর করে। এ সময় তারা বলে যে, আমার স্বামী নাকি হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট নাদিমা সুলতানাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তাকে ৩০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করত হবে। এ সময় আমার স্বামী নাদিমাকে তার সামনে এনে এই বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করলে তারা বিয়ের বদল ১৫ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়।
পরে তারা আমার স্বামীকে মারধর করে সে নাদিমাকে বিয়ে করবে এই মর্মে ৩০০ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন তারা ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা হাসপাতাল ভাংচুর করবে বলে হুমকি দেয়। এই ঘটনায় আমরা মিরসরাই থানায় একটা মামলা দায়ের করেছি।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নিয়েছি। কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বিই/টিসি