ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সহিংস আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চবি ছাত্রলীগের একাংশের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
সহিংস আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চবি ছাত্রলীগের একাংশের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও সরব হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (শাখা) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তবে এবার দাবি আদায় না হলে সহিংস আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চবির বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের পদধারী বেশ কয়েকজন নেতা।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক ৭টি উপগ্রুপ অংশ নেন।

এসময় ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, একাকার, কনকর্ড, এপিটাফ এবং উল্কার নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বেশকিছু দাবি জানান।  

দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তকরণ। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যস্থানে ক্রমানুসারে পুনঃমূল্যায়ন করা। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া। এসময় তারা দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে সহিংস আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, গত ৩১ জুলাই রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষীত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেক জনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কাছে আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু বকর তোহা বলেন, দীর্ঘদিন মাঠে ঘাম ঝরানো, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আগেই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অনাস্থা জানিয়েছি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের জন্য দাবি জানিয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো আমরা।

আরেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, যারা কখনো রাজনীতি করে নাই তারাও এ কমিটিতে পদ পেয়েছে। এছাড়া চবিতে ছাত্রত্ব নেয় এমনও লোকজন পদ পেয়েছে। এছাড়া বিবাহিত, চাকরিজীবীরাও পদ পেয়েছে। অপরদিকে ত্যাগী এবং যোগ্য অনেক নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর দায় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আমাদের বাদি থাকবে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে যোগ্যদেরকে কমিটিতে মূল্যয়ন করা হোক।  আমরা এতদিন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। তবে এবার দাবি আদায় না হলে সহিংস আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো আমরা।

এছাড়া মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, মো শাওন, রোমেল হুসেন, নেছারুল করিম, সাদেক হুসেন টিপু, সাইফুল ইসলাম সুমন, সৈয়দ আমিন হুসেন, আবরার শাহরিয়ার, আবির ইকবাল, মারুফ উদ্দিন রুকন, এমাদ উদ্দিন, মো. নাইম, হামিদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী ফরাজী, সাজিদুর রহমান আশফি, অর্থ সম্পাদক মাহির মুহাম্মাদ মাহফুজ, নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ আনম পিনন, উপ সমাজসেবা সম্পাদক শোয়াইবুল ইসলাম মাসুদ, উপ ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক আলী আহসান রবিন, সাবেক সহ সম্পাদক আবু হেনা মাসুম কামাল, ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ হাসান সুজন ও মাইন উদ্দিন আমান উল্লাহ তাকিনসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা। সে সময় তারা তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো আদায় না হলে আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এমএ/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad