ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না, বলেই সাংবাদিককে মারধর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না, বলেই সাংবাদিককে মারধর আরশিল আজিম নিলয় ও শোয়েব আতিক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালন করতে না যাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মরত এক সংবাদকর্মীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের অনুসারীরা। এ সময় মারধরকারীরা ‘ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না’ বলে ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রেদওয়ান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।

পাশাপাশি তিনি ঢাকা মেইল ও দৈনিক নয়া শতাব্দীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আরশিল আজিম নিলয়, একই সেশনের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শোয়েব আতিক।  

রেদওয়ান আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, রাতে এক ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালনের জন্য আমার রুমে এসে ডাক দিয়েছিল ২০১৮-১৯ সেশনের আরশিল আজিম নিলয়। আমি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিলাম, তারা আমাকে বললো- ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না। এরপর আরশিল আজিম নিলয় তার সঙ্গে থাকা শোয়েব আতিককে মারধর করার নির্দেশ দেন। শোয়েব আমাকে মারধর শুরু করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিনকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তিনি তাদের নিষেধ করার পরও সে আমাকে আরও দুই দফায় মারধর করে। তবে আবু বকর শুধু ঘটনাস্থলে ছিলেন, তিনি আমাকে মারধর করেননি।  

এ বিষয়ে জানতে শোয়েব আতিক ও অভিযুক্ত আরশিল আজিমকে নিলয়কে একধিকবার কল দেওয়া হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। ঘটনার সময় রেদওয়ান আমাকে কল দিয়েছিল। আমি নিষেধ করার পরও তারা ওর গায়ে হাত তুলেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷ 

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। কিছুদিন আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা ঝামেলা করেছিল। আমরা অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এবার যদি অভিযুক্তদের বহিষ্কার না করে, তাহলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং নিয়মানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।