চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজী বিভাগের উদ্যোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টায় চমেকের শহীদ শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে বৈজ্ঞানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মূল্যবান সময় বাঁচান’ স্লোগানে আয়োজিত ‘স্ট্রোক ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব কী’ শীর্ষক মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, স্ট্রোক হলে দেরি না করে রোগীদের অবশ্যই স্ট্রোক সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই ধরণের স্ট্রোক রয়েছে। এরমধ্যে ৮৬ শতাংশই হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং ১৪ শতাংশ হলো হেমোরজিক স্ট্রোক। ইস্কেমিক স্ট্রোক তখন হয় যখন মস্তিষ্কের রক্তনালীতে জমাট বেঁধে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। আবার হেমোরজিক স্ট্রোক হলো- যখন মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। স্ট্রোক রোগীর পুনবার্সন প্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। কারণ স্ট্রোকের চিকিৎসা খুবই দীর্ঘমেয়াদী। তবে বর্তমানে আমাদের নিউরোলজি ওয়ার্ডে আধুনিক চিকিৎসা শুরু করেছি। স্ট্রোকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডে আসলে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। ইতোমধ্যে আমরা যতগুলো থেরাপি দিয়েছি, শতভাগ সফল হয়েছে। রোগীরা সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. শিউলি মজুমদার, ডা. পঞ্চানন দাশ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. একরামুল আজম শাহেদ, নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার, রেজিস্টার ডা. পীযুষ মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমআর/টিসি