কলকাতা: চলছে তাপপ্রবাহ। জ্বলছে গোটা বাংলা।
বুধবারই (১৯ এপ্রিল) রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) গোটা রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ৯ হাজার ২৪ মেগাওয়াট। যা সর্বকালীন রেকর্ড। আমরা গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রেকর্ড চাহিদা পূরণ করে বাংলার ২ কোটি ২২ লাখ গ্রাহকদের সুষ্ঠুভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, তীব্র তাপপ্রবাহে রাজ্যের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গত কয়েকদিন ধরে দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে টানা বৈঠক করে চলেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তার কথায়, এটা এখন পর্যন্ত স্বাধীনোত্তর বাংলায় সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট। সে বছর ছিল ৭ হাজার ৮৩২ মেগাওয়াট।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রী বলেছেন, এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। এর মধ্যে ক্যালকাটা ইলেট্রিক সাপ্লাই (সিইএসসি) এর পরিসংখ্যানকে ধরা হয়নি। প্রসঙ্গত, পশ্চিবঙ্গে দুটি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেট্রিক সাপ্লাই বোর্ড যা রাজ্য সরকারের। এছাড়া আছে বেসরকারি সংস্থা সিইএসসি।
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ এলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে গোটা রাজ্যে ২৬শটি ভ্রাম্যমাণ দল টহল দিচ্ছে। তারপরও অবশ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানে বিরোধ না থাকলেও বহু জায়গাতেই নথিভুক্ত চাহিদার থেকে বাড়তি বিদ্যুৎ বেআইনিভাবে টানা হচ্ছে। কোনো বাড়িতে এসি-র জন্য নির্দিষ্ট বিদ্যুতের যে চাহিদা নথিভুক্ত করা হয়েছে, তা থেকে বাড়তি এসি চলছে। ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে।
পাশপাশি অন্যান্য গ্যাজেট ব্যবহারও হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে সে কথা জানানো হয় না। যার কারণে সংশ্লিষ্ট ট্রান্সফরমার বা সাব-স্টেশন থেকে আসা ফিডার লাইনের ওপরে বাড়তি চাপ পড়ছে।
এক বিদ্যুৎ কর্তার কথায়, কোনো ট্রান্সফরমারের যা ক্ষমতা, তার ১২ শতাংশের বেশি চাহিদা তৈরি হলেই ট্রান্সফরমার বা ফিডার লাইন ‘ট্রিপ’ করে যায়। এই কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণ ভাবে রাত ১১টা নাগাদ বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা ওঠে। সোমবার রাতে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। পাশাপাশি, মার্চ মাস থেকেই রাজ্যের বোরো চাষ শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। গরমে চাহিদা আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, ২১ মার্চ, ২০২৩
ভিএস/আরএ