ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

স্বর্ণ পাচারের সময় বিএসএফের হাতে ভারতীয় গ্রেপ্তার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
স্বর্ণ পাচারের সময় বিএসএফের হাতে ভারতীয় গ্রেপ্তার

কলকাতা: পেট্রাপোল সীমান্তে প্রায় সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  জব্দ করা স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি রুপি।

স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে একজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাহিনীর তথ্য মতে, এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১ নভেম্বর বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট (আইসিপি)-এ দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা স্বর্ণ চোরাচালানের বড় চালান আটক করেছে। বাহিনীর সদস্যরা ৬০টি স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে। এসব স্বর্ণের বারগুলোর আনুমানিক ওজন ছয় দশমিক ৯৯৮ কেজি এবং জব্দ করা স্বর্ণের ভারতীয় মূল্য চার কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৭ রুপি।

বাহিনীর তথ্য অনুসারে, বেনাপোল হয়ে পেট্রাপোলে প্রবেশের সময় একটি খালি ট্রাক তল্লাশি করতে গিয়ে ড্রাইভারের আসনের সামনে স্বচ্ছ স্কচটেপে মোড়ানো একটি প্যাকেট থেকে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়। যাতে বিভিন্ন প্রকার চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকের চালককেও আটক করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাচারকারী সুরজ মগ (২৩) পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর বাসিন্দা। তিনি প্রায়শই পেট্রাপোলের মাধ্যমে কলকাতা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশে নিয়ে যান।

তিনি আরও জানায়, গত ৩০ অক্টোবর পণ্য বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পণ্য আনলোড করতে দেরি হওয়ায় তিনি লোড ট্রাক পার্কিং করে দেন। এরপর ৩১ অক্টোবর বেনাপোল স্থলবন্দরের আনলোডিং এলাকায়, মোহাম্মদ মামুন নামে বেনাপোলের বাসিন্দা তাকে এসব স্বর্ণ ভারতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই কাজের বিনিময়ে তাকে ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকা দেওয়া হয়। মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজনে তিনি রাজি হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ মামুনের নির্দেশ মোতাবেক, পেট্রাপোলে প্রবেশের পর সেখানকার বাসিন্দা আজগর শেখ নামে একজন ভারতীয় নাগরিককে এসব স্বর্ণ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএফ তৎপরতার কারণে তা বানচাল হয়ে যায়। আটক ব্যক্তি ও জব্দ করা মালামাল কলকাতা শুল্ক দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
ভিএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।